বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে কলাপাড়া পৌর ওলামা দলের কর্মী সভা ‎ফের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে দের ঘন্টা পর বরিশাল – কুয়াকাটা মহাসড়ক ছেড়ে দিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কলাপাড়ায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপন মহিপুরে তিনটি অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ অবশেষে বদলি পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ‎খেপুপাড়া নেছারুদ্দীন কামিল মাদ্রাসায়  নবাগত শিক্ষক-কর্মচারীর যোগদান অনুষ্ঠান কলাপাড়ায় একই রাতে তিন বাড়িতে ডাকাতি।। নগদ টাকাসহ স্বর্নালংকার লুট বাউফলে ডাকাতিকালে বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে দুই ডাকাত আটক, নিহত ১ কলাপাড়ায় অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা কুয়াকাটা সৈকতে কম্বল মোঁড়ানো অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার কলাপাড়ায় ৫ ফুট দৈর্ঘ্যের তীব্র বিষধর পদ্ম গোখরা সাপ উদ্ধার।। বনে অবমুক্ত কলাপাড়ায় স্বর্ন ব্যবয়াসীর বাড়িতে ডাকাতি, ২৫ ভরি স্বর্নলংকার সহ টাকা লুট বাউফলে নিখোঁজ হওয়া এক কিশোরীর ৩দিন পর মরদেহ উদ্ধার শ্রমিক দলের প্রধান সমন্নয়ক শিমুল বিশ্বাসের সুস্থতা কামনায় পটুয়াখালী শ্রমিক দলের দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত সব আসামি আপিলে খালাস

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত সব আসামি আপিলে খালাস

Sharing is caring!

অনলাইন ডেক্স:দুই যুগেরও বেশি সময় আগে বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের ছোটভাই নুরুল ইসলাম রিফাত হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- শামছু হাবিব বিদ্যুৎ, রুমান কার্জন, মানিক ও রাসেল কবীর।

বুধবার (১৭ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।

এদিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মুহাম্মদ (এসকে) মোর্শেদ।

২০১৪ সালের এ মামলায় এর আগেও একবার রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ আসামিদের যাবজ্জীবন দণ্ডদেশ দেন। পরবর্তীতে আসামিরা রিভিউ করলে মামলাটি ফের আপিল শুনানিতে আসে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তেজগাঁও কলেজের ছাত্র রিফাতকে ৩৭২ ডিওএইচএস মহাখালী বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামি শামছু হাবিব বিদ্যুৎ। পরদিন মহাখালীর জাহাদ হোটেলের পেছনে রেললাইনে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

এ ঘটনার পরদিন রিফাতের আরেক বড় ভাই মো. ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ৮ আসামির বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৮ সালের ৭ জানুয়ারি ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০০৭ সালের ২১ জুন তৎকালীন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ৮ আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

মামলার শুরু থেকেই মো. সেলিম খান নামের এক আসামি পলাতক থাকায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ৭ আসামি হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১০ সালের ১০ নভেম্বর বিচারপতি মুসা খালেদ ও বিচারপতি আজিজুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৬ আসামির সাজা বহাল ও তাইজুদ্দিন আহমেদ টিটু নামের এক আসামিকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল করলে ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ পাঁচজনের সাজা বহাল রাখেন এবং ওমর ফারুক রাসেল নামের এক আসামিকে খালাস দেন।

আসামিদের রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে আজ আপিল বিভাগ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD